ঢাকা,মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

চকরিয়ায় পিবিআই পুলিশকে স্বাক্ষ্য দেয়ায় কৃষকের টমেটো-মরিচ ক্ষেতে তাণ্ডব

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নে পিআইবি পুলিশের তদন্ত টিমের কাছে স্বাক্ষী দেয়ায় প্রান্তিক কৃষকের টমেটো ও মরিচ ক্ষেতে তাণ্ডব চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় ক্ষেতের বেসুমার সবজি গাছ কেটে দিয়ে ও উপড়ে ফেলে অন্তত লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। রোববার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে বরইতলী ইউনিয়নের পাশবর্তী খিলছাদক ছাদেরকাটাস্থ কৃষক জামাল হোসেনের ফসলের ক্ষেতে ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় বরইতলী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পহঁরচাদা গোবিন্দপুর দক্ষিনপাড়ার বাসিন্দা কৃষক জামালের স্ত্রী নুর আয়েশা বেগম  আজ সোমবার বিকালে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে আসামি করা হয়েছে, স্থানীয় মৃত আবুল হোছনের ছেলে আবদু ছোবাহান ও মহিম উদ্দিনের ছেলে আরফাত নামের দুইজনকে।
অভিযোগে কৃষক জামালের স্ত্রী নুর আয়েশা বেগম বলেন, বিবাদিদের সঙ্গে একমাস আগে আমাদের প্রতিবেশি ওসমান গণির পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওসমানের স্ত্রী মোহছেনা বেগম বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজারকে দায়িত্ব দেন। এরই আলোকে রোববার ১৩ নভেম্বর পিবিআই পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা বরইতলীর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় জনগন ও মামলার স্বাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেন।
কৃষাণী নুর আয়েশা বেগম অভিযোগটিতে আরও বলেন, তদন্তকালে পিবিআই পুলিশ কর্মকর্তা আমার কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। এসময় আমি যা দেখেছি, তা তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বলেছি। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা চলে গেলে আসামিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে। ভয়ে আমি বাড়ি চলে যাই। মুলত পিবিআই পুলিশের কাছে প্রতিবেশির পক্ষে স্বাক্ষী দিয়েছি বলেই আসামিপক্ষের লোকজন এদিন রাতে আমার টমেটো ও মরিচ ক্ষেতে গিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। তাঁরা এক কানি ক্ষেতের সবজি গাছ কেটে দিয়ে ও উপড়ে ফেলে আমার অন্তত লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। এতে আমার পরিবারের আয় উপার্জনের সম্বল একেবারে শেষ হয়ে গেছে। আমি এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুবিচার চাই।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, তাণ্ডব চালিয়ে ফসলের ক্ষেত গুড়িয়ে দেয়ায় ঘটনায় কৃষকের পরিবার একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এব্যাপারে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দিতে চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##

পাঠকের মতামত: